OrdinaryITPostAd

প্রস্রাবে ইনফেকশনের লক্ষণ ও প্রতিকার সর্ম্পকে বিস্তারিত জানুন

আপনি কি জানেন প্রস্রাবে ইনফেকশনের লক্ষণ কি কি ? প্রস্রাবে ইনফেকশনের কারন কি ? কিভাবে বুঝবেন যে আপনার প্রস্রাবে ইনফেকশনের লক্ষণ দেখা দিয়েছে ? প্রস্রাবে ইনফেকশনের লক্ষণ দেখা দিলে কি করবেন? যদি আপনার প্রস্রাবে ইনফেকশনের লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে এর ইনফেকশনের কারন ও প্রতিকার কি? আজকের এই প্রতিবেদনটি আমরা কিভাবে প্রস্রাবে ইনফেকশনের কারন দেখা দিলে এর প্রতিকার কিভাবে করবেন এই সকল বিষয় নিয়ে সাজানো হয়েছে। আর এই সকল প্রশ্নের উত্তর পেতে শেষ পর্যন্ত প্রতিবেদনটি অবশ্যই মনোযোগ সহকারে  পড়বেন।
প্রস্রাবে ইনফেকশনের লক্ষণ ও প্রতিকার
আমাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত বর্জ্য পানি প্রস্রাব হিসেবে বেরিয়ে যায়। প্রস্রাব হবার এই ব্যবস্থার সাথে সম্পর্কিত অঙ্গগুলো নিয়ে আমাদের মূত্রতন্ত্র গঠিত। মূত্রতন্ত্রের মধ্যে থাকে দুটি কিডনি, দুটি ইউরেটার, একটি মূত্রথলি ও একটি মূত্রনালী।

ভূমিকা

ইউরিন ইনফেকশন খুবই পরিচিত একটি রোগ। এই রোগে প্রস্রাবের রাস্তায় খুব জ্বালাপোড়া হবে এবং ঘনঘন প্রস্রাব হবার মত নানান রকম লক্ষণ দেখা দিবে। বেশ কিছু নিয়মকানুন মেনে চললে এবং সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা নিলে এই রোগ থেকে সহজেই সেরে ওঠা সম্ভব।

প্রস্রাবে ইনফেকশনের কারণ

সাধারণত টয়লেটে থাকা বিভিন্ন জীবাণু মূত্রতন্ত্রে প্রবেশ করে ইউরিন ইনফেকশন ঘটায়। প্রস্রাবের রাস্তা বা মূত্রনালী দিয়ে এসব জীবাণু মূত্রতন্ত্রে প্রবেশ করে। নারী-পুরুষ সবারই প্রস্রাবের ইনফেকশন হতে পারে। তবে নারীদের মধ্যে এই রোগে আক্রান্তের হার বেশি। এর কারণ হলো, নারীদের মূত্রনালী পুরুষদের মূত্রনালীর তুলনায় দৈর্ঘ্যে অনেক ছোটো।
এ ছাড়া নারীদের মূত্রনালী পায়ুপথের খুব কাছাকাছি অবস্থিত। ফলে ব্যাকটেরিয়া পায়ুপথ থেকে মূত্রনালীতে প্রবেশ করে প্রস্রাবের সংক্ৰমণ ঘটানোর সম্ভাবনা বেড়ে যায়।মূত্রাশয়ের সংক্রমণ – সিস্টাইটিস
প্রস্রাবে ইনফেকশনের লক্ষণ ও প্রতিকার-২
ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন সাধারণত ই কোলাই নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা হয়ে থাকে। ই কোলাই গ্যাস্ট্রো ইনটেস্টিনাল ট্রাক্টে পাওয়া যায়। তবে কখনো কখনো অন্যান্য ব্যাকটেরিয়া দ্বারাও মূত্রাশয়ে সংক্রমণ হতে পারে।ইউরেথ্রাতে সংক্রমণ – ইউরেথ্রাইটিস
প্রস্রাবে ইনফেকশনের লক্ষণ ও প্রতিকার-৩
এই ধরণের ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন হতে পারে যখন মলদ্বার থেকে ব্যাকটেরিয়া মূত্রনালীতে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও যেহেতু নারীদের ইউরেথ্রা যোনীপথের কাছাকাছি অবস্থিত, তাই সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড রোগ যেমন হার্পিস, গনোরিয়া, ক্ল্যামাইডিয়া, মাইকোপ্লাজমা ইত্যাদিও ইউরেথ্রাইটিস ঘটাতে পারে।

প্রস্রাবে ইনফেকশনের লক্ষণ

ইউরিন ইনফেকশনের সবচেয়ে কমন লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে—প্রস্রাবের সময়ে ব্যথা অথবা জ্বালাপোড়া হওয়া
  • স্বাভাবিকের চেয়ে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া
  • রাতে বারবার প্রস্রাবের চাপ অনুভব করা
  • অস্বাভাবিক গন্ধযুক্ত অথবা ঘোলাটে প্রস্রাব হওয়া
  • হঠাৎ প্রস্রাবের বেগ আসা অথবা বেগ ধরে রাখতে সমস্যা হওয়া
  • তলপেটে ব্যথা হওয়া
  • প্রস্রাবের সাথে রক্ত যাওয়া
  • কোমরের পেছনে পাঁজরের ঠিক নিচের অংশে ব্যথা হওয়া
  • জ্বর আসা কিংবা গা গরম লাগা এবং শরীরে কাঁপুনি হওয়া
  • শরীরের তাপমাত্রা ৯৬.৮° ফারেনহাইট এর চেয়ে কমে যাওয়া 
  • ক্লান্তি ও বমি বমি লাগা
ওপরের লক্ষণগুলোর পাশাপাশি বয়সভেদে প্রস্রাবের ইনফেকশনের লক্ষণগুলোতে কিছুটা ভিন্নতা হতে পারে। প্রস্রাবের নল (ক্যাথেটার) দেওয়া ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে লক্ষণীয় পরিবর্তনগুলো হলো—
  • অস্বাভাবিক আচরণ
  • মানসিক বিভ্রান্তি অথবা ক্ষোভ
  • নতুন করে শরীরে কাঁপুনি অথবা ঝাঁকুনি হওয়া
  • প্রস্রাব করে জামাকাপড় নষ্ট করে ফেলা
আবার বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সাধারণ লক্ষণগুলোর পাশাপাশি ভিন্ন ধরনের কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। যেমন—
  • মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া
  • ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করা বন্ধ করে দেওয়া
  • জ্বর আসা বা শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া
  • ঘন ঘন প্রস্রাব করা কিংবা হঠাৎ বিছানায় প্ৰস্রাব করতে শুরু করা
  • বমি হওয়া

প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে কি খেতে হয়?

নিরামিষভোজীদের প্রস্রাবে ইনফেকশনের মাত্রা তুলনামূলকভাবে কম হয়। নিরামিষ খাবারে প্রস্রাবে ইনফেকশনের ঝুঁকি প্রায় ১৬ শতাংশ হ্রাস করে। এই প্রতিরক্ষামূলক প্রভাব প্রধানত মহিলাদের মাঝেই দেখা গেছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, পোল্ট্রি মাংসসহ বেশ কিছু খাবার ই কোলাই ব্যাকটেরিয়ার একটি স্ট্রেইন “এক্সট্রা ইনটেস্টিনাল প্যাথোজেনিক ই কোলাই” হিসেবে কাজ করে, যা মুত্রতন্ত্রের সংক্রমণ তথা প্রস্রাবে ইনফেকশনের ৬৫ থেকে ৭৫ শতাংশ দায়ী।
প্রস্রাবে ইনফেকশনের লক্ষণ ও প্রতিকার-৪
আরেকটি উপায়ে নিরামিষভোজীদের প্রস্রাবে ইনফেকশন হওয়া থেকে রক্ষা পান – তা হলো নিরামিষ জাতীয় খাবার প্রস্রাবকে কম অম্লীয় করে তোলে। যখন প্রস্রাব কম অম্লীয় এবং বেশি নিরপেক্ষ হয়, তখন এটি মূত্রতন্ত্রের সংক্রমণ এর সাথে সম্পর্কিত ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিকে প্রতিহত করে।
লাল মাংস এবং অন্যান্য প্রানীজ প্রোটিণে উচ্চ সম্ভাবনাময় রেনাল অ্যাসিড লোড বা পিআরএএল’স থাকে। যার মানে হচ্ছে এরা প্রস্রাবকে অধিক অম্লীয় করে তোলে। বিপরীতভাবে, ফল এবং শাকসবজিতে হাই পটেনশিয়াল রেনাল অ্যাসিড লোড (পিআরএএল) কম থাকে, যার ফলে প্রস্রাব কম অম্লীয় হয়।

প্রস্রাবের ইনফেকশন এড়াতে আপনি খেতে পারেন

  • বেরি জাতীয় খাবার: ক্রেনবেরি, ব্লুবেরি, রাস্পবেরি।
  • প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার: টকদই, কিচমিচ , আচার ইত্যাদি
  • উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার: কলা, বাদাম, ডাল, বীজ, গোটা শস্যাদি ইত্যাদি
  • মাছের তেলের সম্পূরক ইত্যাদি।

প্রস্রাবের ইনফেকশন এড়াতে যে যে খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেন বা কম খাবেন

  • বেশি মশলাযুক্ত খাবার
  • টক জাতীয় ফল
  • কফি
  • সোডা
  • এলকোহল
  • আর্টিফিশিয়াল সুইটনার ইত্যাদি।

প্রস্রাবে ইনফেকশন ঔষধের নাম

প্রস্রাবে ইনফেকশনের জন্য সুপারিশকৃত ওষুধের মধ্যে আছে:
  • ট্রাইমেথোপ্রিম / সালফামেথোক্সাজোল
  • ফসফোমাইসিন
  • নাইট্রোফুরানটয়েন
  • সেফালেক্সিন
  • সেফট্রিয়াক্সোন
অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের একটি গ্রুপ হলো  ফ্লুরোকুইনোলোনস যেমন – সিপ্রোফ্লক্সাসিন, লেভোফ্লক্সাসিন ইত্যাদি সাধারণ ইউটিআই এর জন্য দেওয়া হয়না। কিছু ক্ষেত্রে, কিডনিতে সংক্রমণ বা কমপ্লিকেটেড ইউটিআই চিকিৎসায় যদি অন্য কোন বিকল্প না থাকে, তখন ফ্লুরোকুইনোলোন ওষুধ দেওয়া যেতে পারে।
সাধারনত, প্রস্রাবে ইনফেকশনের লক্ষণ ও উপসর্গগুলো চিকিৎসা শুরুর কয়েক দিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যায়। তবে আপনাকে এক সপ্তাহ বা তারও বেশি সময় ধরে অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ চালিয়ে যেতে হবে। পাশাপাশি আপনাকে ব্যথার ওষুধও দেওয়া হতে পারে, যা প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি দিবে। তবে সাধারনত অ্যান্টিবায়োটিক শুরু করার পরেই ব্যথা উপশম হয়ে যায়।

প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়ার ঘরোয়া চিকিৎসা

প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া অনুভব হলে অবশ্যই সবার প্রথমে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। তবে কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা আছে, যা প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া খানিকটা উপশম করবে। তবে আপনাকে মনে রাখতে হবে যে, ঘরোয়া প্রতিকারগুলো ক্লিনিক্যাল পরামর্শের বিকল্প নয়।

প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া বা প্রস্রাবের সময় ব্যথা অনুভব করা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই হাইড্রেটেড থাকতে হবে। পর্যাপ্ত পানি পান করুন। প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া ডিহাইড্রেশনের কারণে হতে পারে।

প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া কমাতে যেসব ঘরোয়া চিকিৎসা আছে, তার মধ্যে নারিকেল পানি পান অন্যতম। নারিকেল পানিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইলেক্ট্রোলাইটস আছে, যা আপনার শরীরের তারল্যসূচক ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য দুর্দান্ত।

কুসুম গরম পানিতে ১ টা লেবুর রস ও ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেতে পারেন। মধুমিশ্রিত লেবুপানি প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া কমাতে একটি জনপ্রিয় ঘরোয়া চিকিৎসা।

অনেক রোগের ঘরোয়া চিকিৎসায় আপেল সাইডার ভিনেগার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়ার ঘরোয়া চিকিৎসায় আপেল সাইডার ভিনেগার কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য আছে, যা প্রস্রাবের ইনফেকশনের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়াকে প্রতিহত করে। এছাড়াও আপেল সাইডার ভিনেগার এনজাইম, পটাশিয়াম ও অন্যান্য সহায়ক খনিজে ভরপুর, যা শরীরের প্রাকৃতিক পি এইচ পুনরুদ্ধারে সহায়তা করে।

টকদই প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার। প্রতিদিন দুই থেকে তিন চামচ টকদই খাবারের তালিকায় রাখুন। প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া উপশম করতে টকদই উপকারি। পাশাপাশি টকদই এর পুষ্টি উপাদানগুলো সুস্থ ভ্যাজাইনাল পি এইচ বজায় রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

শসায় প্রায় ৯৫ শতাংশ পানি থাকে। শসা আপনাকে হাইড্রেটেড রাখবে এবং শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন থেকে মুক্তি দিবে। পাশাপাশি আপনার শরীরকে শীতল রাখবে। প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া কমাতে প্রতিদিন ২-৩ টি শসা খেতে পারেন।

প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া বা প্রস্রাবের সময় ব্যথার সংবেদন কমাতে গরম ছ্যাক নেওয়া উপকারী। গরম তাপ মূত্রাশয়ের চাপ কমিয়ে ব্যথা উপশম করবে। তলপেটে ৫ মিনিট গরম ছ্যাক দিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। তারপর পুনরায় গরম তাপ নিন। বাজারে নানা ধরণের হট ওয়াটার প্যাক পাওয়া যায়। গরম পানি সেখানে ভরে আপনি গরম ছ্যাক নিতে পারেন।

শেষকথা

প্রস্রাবের ইনফেকশন সবসময় প্রতিরোধ করা সম্ভব না হলেও কিছু নিয়ম মেনে চললে ইনফেকশন হওয়ার প্রবণতা কমিয়ে আনা যায়। 
টয়লেটে টিস্যু ব্যবহারের সময়ে সামনে থেকে পেছনে পরিষ্কার করুন।
প্রচুর পানি পান করুন। 
দৈনিক কমপক্ষে ছয় থেকে আট গ্লাস পানি পান করা উচিত।
বাথটাব বা পুকুরে গোসল করার পরিবর্তে শাওয়ার কিংবা বালতির সাহায্যে গোসল করুন।
প্রস্রাব করার সময়ে মূত্রথলি সম্পূর্ণ খালি করার চেষ্টা করুন।
সুতি কাপড়ের ঢিলেঢালা অন্তর্বাস ব্যবহার করুন।
এক থেকে তিন বছর বয়সী বাচ্চার ডায়পার বা কাপড়ের ন্যাপি নিয়মিত পরিবর্তন করুন।

প্রিয় পাঠক আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনে প্রস্রাবের ইনফেকশন এর লক্ষন ও এর প্রতিকার সর্ম্পকে আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতামত আমাদের জানান। মনে রাখবেন আপনাদের প্রত্যেকটি মতামত অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে আমরা দেখি এবং পড়ি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪