OrdinaryITPostAd

দাঁতের মাড়ি ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় সর্ম্পকে বিস্তারিত জানুন

 

আপনি কি জানেন দাতের মাড়ি কেন ব্যাথা হয়? দাতের মাড়ি কেন ব্যাথা কমানোর উপায় কি? দাতের মাড়ি ব্যাথা হলে কি করবেন? দাতের মাড়ি ব্যাথা হলে কোন ঔষধ খাবেন? দাতের মাড়ি ব্যাথা হলে কোন ডাক্তার দেখাবেন?
দাঁতের মাড়ি ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
দাঁত আমাদের দেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। এটি আমাদের খাবার খেতে সাহায্য করে। নরম কিংবা শক্ত যেকোনো ধরনের খাবার চিবিয়ে খেতে সাহায্য করে দাঁত। শুধু যে খেতেই সাহায্য করে তা কিন্তু নয়। এই অঙ্গটি মানুষের সৌন্দর্যেরও একটি অংশ। সুন্দর, সুস্থ দাঁত মানুষকে সুন্দর করে তোলে।
আর এই সুন্দর অঙ্গটিই যদি অসুস্থ হয়, ব্যথা আক্রান্ত হয়? দাঁতের ব্যথা কতটা মারাত্মক হতে পারে সেটা যারা ভুক্তভোগী তারা ভালো করেই জানেন। শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। অত্যন্ত মারাত্মক এক রোগ এটি। প্রচন্ড ব্যথায় মানুষের এ সময় কিছুই করার থাকে না। আজ আমরা এই দাঁত ব্যথা সম্পর্কেই জানার চেষ্টা করবো।

ভূমিকা

দাঁতের ব্যথার কষ্ট ভুক্তভোগীরাই জানেন। এই ব্যথায় কখনো ভোগেননি, এমন কাউকে সম্ভবত খুঁজে পাওয়া যাবে না। দাঁতে ব্যথার কারণ হতে পারে দাঁতে গর্ত সৃষ্টি, এনামেল ক্ষয়, সংক্রমণসহ আরও অনেককিছু। দাঁতে ব্যথা প্রথম দিকে খুব বেশি মনে না হলেও পরবর্তীতে তা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।
দাঁতে ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ তো নেবেনই। তবে ঘরোয়া কিছু প্রতিকার মেনে চললে আরাম পাবেন। ব্যথা অল্প সময়ের জন্য হলে ঘরোয়া উপায়ে মুক্তি পেতে পারেন। তবে দাঁতের ব্যথা দীর্ঘদিন ধরে চললে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক দাঁতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায়-

দাঁতের মাড়ি ব্যথা করে কেন

দাঁত এবং মাড়ির ব্যথা নিয়ে ভোগেননি, এমন মানুষ পাওয়া ভার। এই ধরনের সমস্যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। দাঁতের চেয়েও মাড়িতে ব্যথা হলে ভোগান্তি বেশি হয়। দাঁতে ব্যথা নেই, কিন্তু মাড়ি ফুলে গিয়েছে, সেই সঙ্গে প্রবল ব্যথা— মাড়ির এই সমস্যাটিকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয় ‘জিঞ্জিভাইটিস’। এটি হল মাড়ির সংক্রমণজনিত রোগ। 
সঠিক যত্নের অভাবে দাঁতের উপর প্লাকের একটি স্তর পড়ে যায়। দীর্ঘ দিন ধরে এটি থাকার ফলে মাড়িতেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। এ ছাড়া অতিরিক্ত ধূমপান, অপুষ্টি, ডায়াবিটিস, দাঁতের পর্যাপ্ত যত্ন না নেওয়া, স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধের ব্যবহার— এমন কয়েকটি কারণ এই রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
কোন লক্ষণগুলি দেখলে বুঝবেন, আপনি জিঞ্জিভাইটিসে আক্রান্ত?
  • মাড়ি লাল হয়ে ফুলে যাওয়া
  • মাড়ি থেকে ক্রমাগত রক্তপাত
  • মাড়িতে প্রবল ব্যথা
  • দুর্গন্ধযুক্ত নিশ্বাস
  • ঠান্ডা এবং গরম খাবার খেলে দাঁত শিরশির করা
জিঞ্জিভাইটিস হলে একেবারেই ফেলে রাখবেন না। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। অতি অবশ্যই দন্তচিকিৎসকের কাছে যান। মাড়িতে ব্যথা হলে চিকিৎসককে না জিজ্ঞেস করে কোনও ওষুধ খাবেন না। তবে কিছু ঘরোয়া উপায়েও এই সমস্যার মোকাবিলা করতে পারেন।

দাঁতের মাড়ি ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়

লবঙ্গ
একটি লবঙ্গ ব্যথা দাঁতের ওপর রেখে দিন, চিবোনোর দরকার নেই। ফেলেও দেবেন না। ব্যথা না কমা পর্যন্ত এটি মুখে রাখুন। তাছাড়া হাতে কয়েক ফোঁটা লবঙ্গের তেল নিয়ে দাঁতে ম্যাসাজ করুন। এটিও দাঁতের ব্যথা কমিয়ে দেবে।

লবণ
দাঁত ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়গুলোর মধ্যে লবণ অন্যতম এবং এটি মুখের ভেতরে যেকোনো ইনফেকশন সারাতেও খুব কার্যকরী। একগ্লাস কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে নিন তারপর সেই পানি দিয়ে কুলি করুন। দিনে অন্তত ৩/৪ বার এইভাবে করুন।

পেঁয়াজ
পেঁয়াজে আছে অ্যান্টিসেপটিক , অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিমাইক্রবিয়াল উপাদান যা দাঁতের ব্যথা, জীবাণু সব কিছু সেরে তুলতে সাহায্য করে। আর যদি পেঁয়াজ চিবিয়ে খেতে ভালো না লাগে তাহলে সামান্য পেঁয়াজের কোয়া নিয়ে আক্রান্ত দাঁতে দিয়ে রাখুন। দিনে ২/৩ বার এইভাবে করুন দাঁত ব্যথা কমে যাবে।

রসুন
বহুগুণে ভরপুর রসুন এর স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক বেশি। আর দাঁত ব্যথা কমাতে রসুনের জুড়ি নেই। চিবিয়ে খেতে ভালো না লাগলে রসুনের কোয়া ব্যথায় আক্রান্ত দাঁতে চেপে ধরে রাখুন।

এছাড়া পেয়ারা পাতা দাঁত ব্যথায় দারুণ উপকারী। দুটি পেয়ারা পাতা চিবিয়ে ব্যথাওয়ালা দাঁতে চেপে রাখুন। আরাম পাবেন। তবে ব্যথায় যদি দীর্ঘ দিন কষ্ট পান অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে করণীয়

মাড়ি ফুলে যাওয়ার পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে, যাকে ইংরেজিতে গাম ডিজিজ (Gum disease)-ও বলা হয়। ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ, ছত্রাক সংক্রমণ, পুষ্টির ঘাটতি, গর্ভাবস্থা, ভিটামিন-সি-এর ঘাটতি বা দাঁতে খাবার আটকে থাকা মাড়ি ফুলে যাওয়ার প্রধান কারণ। এমনকী সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা না পেলেও এটি মুখের স্বাস্থ্যের জন্যও ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে করণীয়

ইউক্যালিপটাস অয়েল-
ইউক্যালিপটাসের তেল হল মাড়ির প্রদাহ কমায়, জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে, যা দুর্বল মাড়িকে ঠিক করতে সাহায্য করে এবং মাড়ির নতুন কোষ তৈরি করতেও সাহায্য করে।

সরিষার তেল-
সরিষার তেলে রয়েছে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য। যা প্রদাহ উপশম করতে এবং মাড়ির ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। সরিষার তেলে একটু নুন মিশিয়ে মাড়িতে লাগান। এই ট্রিটমেন্ট আপনি দিনে ৩-৪ বার করতে পারেন বারবার ব্যবহার করলে শীঘ্রই আপনি সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাবেন।

অ্যালোভেরা জেল
ঔষধি গুণে সমৃদ্ধ, অ্যালোভেরা জেল প্রকৃতিতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল (Antibacterial) এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল (Antifungal) হিসেবে কাজ করে। মাড়ির ফোলাভাব, মাড়ি থেকে রক্ত ​​পড়া এবং মুখের সংক্রমণের মতো সমস্যা দূর করতে এটি সহায়ক।

হলুদ
হলুদে কারকিউমিন অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে বলে জানা যায়। ২০১৫ সালের একটি গবেষণা অনুসারে, হলুদ মাড়ির প্রদাহ কমাতে কাজ করে।

দাঁতের মাড়ি ফোলা ও ব্যথা কমানোর ওষুধ

দাঁতের স্বাস্থ্যের দিকেও বিশেষ খেয়াল রাখার জন্য নিয়মিত মুখের ভিতরের অংশ পরিস্কার ও সুস্থ রাখা সকলেরই কাম্য। তবে সেভাবে যত্ন না নেওয়ায় শুরু হয় দাঁতে ও দাঁতের মাড়ির সমস্যা। দাঁতের মাড়ির সমস্যা শুনে অনেকেই বিষয়টিকে এড়িয়ে যান। কিন্তু এই ছোট সমস্যাকে সঠিক সময়ে প্রতিকার না করলে ভবিষ্যতে বড়সড় সমস্য়ার আকার ধারণ করতে পারে। মাড়িতে চরম ব্যথা অনুভব হলে ঘরোয়া উপায়ে কীভাবে স্বস্তি পাবেন, তার কিছু প্রাকৃতিক উপায়ে টিপস দেওয়া রইল। তবে ব্যথা যদি বারে বারে হয় ও দিনে সেই যন্ত্রণার পরিমাণ বাড়তে থাকে, তাহলে অবশ্যই চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।

গোলাপ ফুল
গোলাপ ফুলে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা দাঁতের মাড়ির ব্যথা প্রশমিত করতে ব্যবহৃত হয়। মাউথওয়াশ হিসেবে গোলাপ ফুল দিয়ে তৈরি করা জল ব্যবহার করতে পারেন। ঘরোয়া উপায়ে মাউথওয়াশ হিসেবে এক কাপ গোলাপ ফুলের চা বা জল অথবা পেস্টের মধ্যে এক চা চামচ লেবুর রস যোগ করুন। সেরা ফল পেতে প্রতিদিন চারবার এই পেস্ট ব্যবহার করুন।

গরম সেঁক দেওয়া
দাঁতের মাড়িতে ব্যথা দূর করতে গরম সেঁক দেওয়া এই ঘরোয়া প্রতিকার। একটি পরিষ্কার কাপড় গরম জলে ভিজিয়ে রাখুন। অতিরিক্ত জল বের করে মুখের যেখানে ব্যথা রয়েছে, সেখানে ওই গরম কাপড়টি আলতো চেপে সেঁক দিন। পাঁচ মিনিটের জন্য রেখে দিন। মাড়ির ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে যতবার প্রয়োজন এটি করতে পারেন।

ক্যামোমাইল চা (Chamomile Tea)
চ্যামোমাইল যে কোনও ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া একটি মোক্ষম দাওয়াই। এ এতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান, যা মাড়ির চারপাশে ব্যথা নির্মূল করার জন্য বিশেষ ভাবে উপকারী। ঘরোয়া প্রতিকারটি ব্যবহার করার জন্য, দিনে একবার কেবল ক্যামোমাইল চা গারগেল করুন। চা পান করাও কিছুটা উপকারী হতে পারে।

পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায়

সাধারণত দাঁতের গর্তকে দাঁতের পোকা ধরা বলে চালানো হয়। আমরা যদি ২৪ ঘণ্টায় একবারও সঠিক নিয়মে দাঁত পরিষ্কার না করি, তবে নিঃসৃত লালার একটি বিশেষ উপাদান দাঁতের পৃষ্ঠে আঠালভাবে লাগতে শুরু করে। সাধারণভাবে মুখের মধ্যে অসংখ্য সুপ্ত এককোষীয় জীবাণুর বসবাস, তাদের মধ্যে বিশেষ কিছু ব্যাকটেরিয়া সেখানে বাসা বাঁধে ও দ্রুত বংশবিস্তার করা শুরু করে। এসব জীবাণু খালি চোখে দেখা সম্ভব নয়।

দাঁতের পৃষ্ঠে জমা হওয়া এসব ব্যাকটেরিয়া যখন মিষ্টিজাতীয় খাবার যেমন চিনির তৈরি খাবার বা চকলেট, এমনকি আলুর চিপস পায়, তখন একে কাজে লাগিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় অ্যাসিড তৈরি করে। এই অ্যাসিড দাঁতের শক্ত প্রতিরক্ষা আবরণ ক্ষয় করে ডেন্টাল ক্যারিজ বা গর্ত সৃষ্টি করে।
একবার গর্ত হয়ে গেলে পরে ভালোভাবে ব্রাশ করে বা ওষুধ সেবনের মাধ্যমেও ঠিক করা যায় না। যত দ্রুত সম্ভব দন্তচিকিৎসকের পরামর্শে ফিলিং (গর্ত ভরাট) নামক চিকিৎসার মাধ্যমে দাঁতকে সুস্থ করা যায়। এটি অতি সাধারণ চিকিৎসা, খরচও স্বল্প। কিন্তু প্রাথমিক পর্যায়ের গর্ত তেমন কোনো সমস্যা করে না বলে অনেকেই একে অবহেলা করে। পরে দাঁতের ভেতরের মজ্জা সংক্রমিত হয়ে তীব্র ব্যথার সৃষ্টি করে। তখন রুট ক্যানেল নামক জটিল, সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে।

অনেকে আবার ব্যথা কমানোর জন্য চিকিৎসা ছাড়াই ফার্মাসি থেকে নানা ওষুধ সেবন করে নানা জটিলতার সৃষ্টি করে। গর্ত থেকে সংক্রমণ দাঁতের গোড়ায় বা হাড়ের মধ্যে ছড়িয়ে গ্রানুলোমা, পুঁজ, সিস্ট, সেলুলাইটিসসহ নানা জটিলতা সৃষ্টির আশঙ্কা থাকে। ভাঙা দাঁতের অমসৃণ অংশ জিহ্বা বা চোয়ালে ক্ষত তৈরি করে। দীর্ঘসময় এই ক্ষত রয়ে গেলে ক্যানসারের মতো ভয়াবহ সমস্যাও হতে পারে। অতিরিক্ত অবহেলায় দাঁতটির ধারক কলা নষ্ট হয়ে দাঁত হারাতে হয়।

করণীয়
দাঁতে গর্ত যেন না হয়, প্রথমে সেই চেষ্টা করতে হবে। সে জন্য সকালে নাশতার পর ও রাতে খাবার শেষে দুই মিনিট ধরে ফ্লোরাইড যুক্ত টুথপেস্ট ও নরম টুথব্রাশ দিয়ে দাঁতের মোট পাঁচটি পৃষ্ঠ পরিষ্কার করতে হবে। দাঁতের ফাঁকে খাবার ঢুকলে ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করা জরুরি। যাঁদের মুখ শুষ্ক থাকে বা অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্ট, বিষণ্নতা, ক্যানসার, উচ্চরক্তচাপ রয়েছে, তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শে মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে পারে। অসম বা উঁচুনিচু ফাঁকা দাঁত পরিষ্কারের সঠিক পদ্ধতি জানতে হবে।

শেষকথা

প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ দাঁতে ব্যথার (Toothache) সমস্যায় ভোগেন। তবে বহু চেষ্টা করেও সহজে এই অসহ্য যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না। তবে এখন আর চিন্তা নেই। এই ঘরোয়া উপায়েই (Home Remedy) মিলতে পারে দাঁত ব্যথা থেকে মুক্তি। ঘরোয়া পদ্ধতি যদি কাজ না করে তবে আপনাকে অবশ্যই সচেষ্ট হতে হবে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই ভালো।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪